★★★জেনে নিন মামলায় জামিন সংক্রান্ত আইন ও আপনার অধিকার সম্পর্কে ★★★
★★★ জামিন - দেশের নাগরিক হিসেবে কোন ব্যক্তি যে অপরাধই করুক না কেন ন্যায়বিচার পাওয়া তার মৌলিক অধিকার। কোন ব্যক্তি শুধু গ্রেপ্তার হলেই তাকে অপরাধী বলা যায়না,যতক্ষণ না মামলার সার্বিক বিচার কার্যক্রম শেষ হয় এবং আদালত কর্তৃক অপরাধী ঘোষিত হয়। হলেই । মামলার সার্বিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতা ও অপরাধ প্রমাণিত হওয়া পর্যন্ত কোন ব্যক্তি আদালতের অনুমতি নিয়ে মামলার কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত জেল খানার বাইরে অবস্থান করাই জামিন বলে গন্য হয়ে থাকে। কোন ব্যাক্তি মামলায় আসামী হিসেবে জড়িয়ে পড়লে আদালতে উপস্থিত হয়ে তাকে জামিন নিতে হয়। জামিন সাধারণত দুই ধরনের -১) আগাম জামিন এবং ২) অন্তর্বর্তীকালীন জামিন।
★★★আগাম জামিন - যখন কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বা গ্রেপ্তার হওয়ার অনুমান করা হয় তখন কোনো ব্যাক্তি আদালতে জামিনের আবেদন করলে তখন উক্ত ব্যক্তিকে যে জামিন দেওয়া হয় তাকে Anticipatory Bail বা আগাম জামিন বলে। এই জামিনে অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেফতারের আগেই আদালত থেকে জামিন নিতে পারেন। জামিনের সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম হিসেবে হাইকোর্টের/ দায়রা আদালতের একান্ত এখতিয়ার অনুযায়ী এ ধরনের জামিন দেওয়া হয়। যখন কোনো ব্যক্তির নিকট বিশ্বাস করার এমন কারণ থাকে যে, তিনি কোনো জামিন অযোগ্য অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে পারেন, তখন তিনি হাইকোর্ট/দায়রা বিভাগে আবেদন করলে আদালত যদি যথাযথ মনে করেন তাহলে সেই মুহূর্তে উক্ত ব্যক্তিকে ভবিষ্যতে গ্রেপ্তার করা থেকে বিরত রাখার জন্য আগাম জামিনের নির্দেশ দিতে পারেন।
আগাম জামিন অনুমোদন করার জন্য আইনের বিধানে কোনো নির্দিষ্ট ধারা নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারাকে ব্যাখ্যা করে পরবর্তীকালে আগাম জামিন দেওয়া আদালত অব্যাহত রাখেন । তাই আগাম জামিনের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।
★★★অন্তর্বর্তীকালীন জামিন- কারাগারে আটক অবস্থায় মামলা নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত যে জামিন নেওয়া হয় তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বলে।কোনো ব্যক্তি পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর মামলা নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত কারাগার থেকে বের হতে হলে তাঁকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে জামিনের জন্য কতগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হয়। প্রথমে তাঁকে গ্রেফতার হওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁকে জামিন আবেদন করতে হয়। জামিন নামঞ্জুর হলে দায়রা জজ এবং জেলা জজ আদালতে আসতে হয়। সেখানেও জামিন নামঞ্জুর হলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করতে হয়। হাইকোর্টে জামিন নামঞ্জুর হলে সর্বশেষ ভরসা আপিল বিভাগের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এর প্রতিটি ধাপের যে কোনো একটি আদালতে জামিন হলে তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারবেন।
★★★জামিন পাওয়ার পর করণীয় -
কোন ব্যক্তি আদালত কর্তৃক জামিন পাওয়ার পর তার ওপর কিছু বিধিনিষেধ বা শর্ত বা বাধ্যবাধকতা থাকে, আর এ বিধিনিষেধগুলো না মানলে বাতিল হতে পারে জামিন।
ফৌজদারি মামলা হতে পারে থানায় এজাহারের মাধ্যমে। হতে পারে আদালতে সরাসরি আবেদনের মাধ্যমেও। জিডি থেকেও মামলা হতে পারে। যদি থানায় মামলা হয়, তাহলে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে হাইকোর্ট বিভাগ থেকেও আগাম জামিন চাওয়া যায়। তবে সাধারণত আগাম জামিন মঞ্জুর হয় কয়েক সপ্তাহের জন্য। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে হবে। আদালতে সরাসরি মামলা হলে আদালত সমন বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও আত্মসমর্পণ করে জামিন চাওয়ার সুযোগ আছে।
যদি পুলিশ গ্রেপ্তার করে, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পাঠাবে। তখন আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চাইতে হবে। নিম্ন আদালতে কয়েক দিন পরপর জামিন চাওয়া যায়। যদি নিম্ন আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন, তখন দায়রা আদালতে জামিন চাইতে হয়। দায়রা আদালত জামিন না দিলে হাইকোর্ট বিভাগে জামিন আবেদন করতে হয়।তবে জামিন যেভাবেই হোক না কেন কিছু শর্ত অবশ্যই মানতে হবে ।
★★★যা যা মানতে হবে -
জামিন আগাম, অন্তর্বর্তীকালীন কিংবা স্থায়ী হোক—জামিন পাওয়ার পর মেনে চলতে হবে নিয়ম। আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন মানে এই নয় যে মামলা থেকে মুক্তি মিলেছে। জামিন পাওয়ার পর বাধ্যবাধকতা হচ্ছে নির্ধারিত প্রতিটি তারিখে আদালতে হাজিরা দেওয়া। কোনোভাবেই হাজিরা থেকে বিরত থাকা যাবে না। যদি অসুস্থতা বা যৌক্তিক কারণে আদালতে হাজির না থাকা যায়, তাহলে নিযুক্ত আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করতে হবে। জামিন পাওয়ার পর কোনোভাবে প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধমকি দেওয়া যাবে না। মামলার কোনো সাক্ষীকে প্রলোভন বা কোনো ভয়ভীতি দেখানো যাবে না।প্রতিপক্ষ বা সাক্ষীকে হুমকি-ধমকি দিলে এবং প্রতিপক্ষরা আদালতে অবগত করলে জামিন বাতিল হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ করে টাকা আত্মসাতের মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আদালত বলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ যদি আসলেই টাকা পায়, টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। যৌতুক-সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রেও প্রায়ই দেখা যায় অভিযুক্ত পক্ষ আপস-মীমাংসার শর্তে জামিন চান। সে ক্ষেত্রে স্ত্রী যদি আপস-মীমাংসা কিংবা তাঁর দেনমোহর বা ভরণপোষণের টাকা পাওয়ার শর্তে রাজি থাকেন, তাহলে স্বামীকে জামিনে আপত্তি নাও করতে পারেন। তবে অভিযুক্তকে শর্তগুলো মানতে হবে।যদিও আইনের চোখে এমন কোনো শর্তে জামিন দেওয়ার কোনো স্পষ্ট বিধান নেই। জামিনপ্রাপ্ত হলে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের পূর্বানুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক মামলায় দেখা যায়, আদালত পাসপোর্ট জব্দ করেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আদালতের অনুমতি নিয়ে পাসপোর্ট নিজের জিম্মায় এনে বিদেশ যেতে হবে। বিদেশ গেলেও আদালতে ধার্য্য তারিখে আইনজীবীর মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে হবে।আইনে কিছু শর্ত সাপেক্ষে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে মওকুফ চাওয়া যায় এবং আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়া যায়। বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির জন্য আবেদন করতে পারেন মামলার মূল বিচার শুরু হওয়ার আগে। এ ক্ষেত্রে আইনজীবী নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন কি না, তা জেনে নিতে হবে। আইনজীবী যদি হাজিরা না দেন, তাহলেও জামিন বাতিল হতে পারে। মনে রাখা জরুরি, জামিন পাওয়ার পর বিচারের সব স্তরে আদালতে যেতে হবে এবং বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। নিজে নির্দোষ হলে উপযুক্ত সাক্ষী দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে জামিন পাওয়ার পর জামিন বাতিল হলে এতে বিপদ আরও বাড়তে পারে। আইনের চোখে পলাতক ব্যক্তির অধিকারকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
★★★
সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন,নিজে আইন মেনে চলুন,অন্যকেও আইন মেনে চলতে উৎসাহিত করুন।সবাই আইন ও নিয়ম মেনে চলে একটি সুন্দর সমাজ তথা দেশ ঘটনে অবদান রাখুন।
শেখ মোহাম্মদ আমির উদ্দিন
সাধারণ সম্পাদক, ব্লিয়াক
প্রধান সম্পাদক, আইন আদালত সবার তরে।
ঢাকা জজ কোর্ট
প্রয়োজনে - ০১৬৭৩২৪০২৪৩,
★★★ জামিন - দেশের নাগরিক হিসেবে কোন ব্যক্তি যে অপরাধই করুক না কেন ন্যায়বিচার পাওয়া তার মৌলিক অধিকার। কোন ব্যক্তি শুধু গ্রেপ্তার হলেই তাকে অপরাধী বলা যায়না,যতক্ষণ না মামলার সার্বিক বিচার কার্যক্রম শেষ হয় এবং আদালত কর্তৃক অপরাধী ঘোষিত হয়। হলেই । মামলার সার্বিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতা ও অপরাধ প্রমাণিত হওয়া পর্যন্ত কোন ব্যক্তি আদালতের অনুমতি নিয়ে মামলার কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত জেল খানার বাইরে অবস্থান করাই জামিন বলে গন্য হয়ে থাকে। কোন ব্যাক্তি মামলায় আসামী হিসেবে জড়িয়ে পড়লে আদালতে উপস্থিত হয়ে তাকে জামিন নিতে হয়। জামিন সাধারণত দুই ধরনের -১) আগাম জামিন এবং ২) অন্তর্বর্তীকালীন জামিন।
★★★আগাম জামিন - যখন কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বা গ্রেপ্তার হওয়ার অনুমান করা হয় তখন কোনো ব্যাক্তি আদালতে জামিনের আবেদন করলে তখন উক্ত ব্যক্তিকে যে জামিন দেওয়া হয় তাকে Anticipatory Bail বা আগাম জামিন বলে। এই জামিনে অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেফতারের আগেই আদালত থেকে জামিন নিতে পারেন। জামিনের সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম হিসেবে হাইকোর্টের/ দায়রা আদালতের একান্ত এখতিয়ার অনুযায়ী এ ধরনের জামিন দেওয়া হয়। যখন কোনো ব্যক্তির নিকট বিশ্বাস করার এমন কারণ থাকে যে, তিনি কোনো জামিন অযোগ্য অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে পারেন, তখন তিনি হাইকোর্ট/দায়রা বিভাগে আবেদন করলে আদালত যদি যথাযথ মনে করেন তাহলে সেই মুহূর্তে উক্ত ব্যক্তিকে ভবিষ্যতে গ্রেপ্তার করা থেকে বিরত রাখার জন্য আগাম জামিনের নির্দেশ দিতে পারেন।
আগাম জামিন অনুমোদন করার জন্য আইনের বিধানে কোনো নির্দিষ্ট ধারা নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারাকে ব্যাখ্যা করে পরবর্তীকালে আগাম জামিন দেওয়া আদালত অব্যাহত রাখেন । তাই আগাম জামিনের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।
★★★অন্তর্বর্তীকালীন জামিন- কারাগারে আটক অবস্থায় মামলা নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত যে জামিন নেওয়া হয় তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বলে।কোনো ব্যক্তি পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর মামলা নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত কারাগার থেকে বের হতে হলে তাঁকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে জামিনের জন্য কতগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হয়। প্রথমে তাঁকে গ্রেফতার হওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁকে জামিন আবেদন করতে হয়। জামিন নামঞ্জুর হলে দায়রা জজ এবং জেলা জজ আদালতে আসতে হয়। সেখানেও জামিন নামঞ্জুর হলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করতে হয়। হাইকোর্টে জামিন নামঞ্জুর হলে সর্বশেষ ভরসা আপিল বিভাগের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এর প্রতিটি ধাপের যে কোনো একটি আদালতে জামিন হলে তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারবেন।
★★★জামিন পাওয়ার পর করণীয় -
কোন ব্যক্তি আদালত কর্তৃক জামিন পাওয়ার পর তার ওপর কিছু বিধিনিষেধ বা শর্ত বা বাধ্যবাধকতা থাকে, আর এ বিধিনিষেধগুলো না মানলে বাতিল হতে পারে জামিন।
ফৌজদারি মামলা হতে পারে থানায় এজাহারের মাধ্যমে। হতে পারে আদালতে সরাসরি আবেদনের মাধ্যমেও। জিডি থেকেও মামলা হতে পারে। যদি থানায় মামলা হয়, তাহলে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে হাইকোর্ট বিভাগ থেকেও আগাম জামিন চাওয়া যায়। তবে সাধারণত আগাম জামিন মঞ্জুর হয় কয়েক সপ্তাহের জন্য। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে হবে। আদালতে সরাসরি মামলা হলে আদালত সমন বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও আত্মসমর্পণ করে জামিন চাওয়ার সুযোগ আছে।
যদি পুলিশ গ্রেপ্তার করে, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পাঠাবে। তখন আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চাইতে হবে। নিম্ন আদালতে কয়েক দিন পরপর জামিন চাওয়া যায়। যদি নিম্ন আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন, তখন দায়রা আদালতে জামিন চাইতে হয়। দায়রা আদালত জামিন না দিলে হাইকোর্ট বিভাগে জামিন আবেদন করতে হয়।তবে জামিন যেভাবেই হোক না কেন কিছু শর্ত অবশ্যই মানতে হবে ।
★★★যা যা মানতে হবে -
জামিন আগাম, অন্তর্বর্তীকালীন কিংবা স্থায়ী হোক—জামিন পাওয়ার পর মেনে চলতে হবে নিয়ম। আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন মানে এই নয় যে মামলা থেকে মুক্তি মিলেছে। জামিন পাওয়ার পর বাধ্যবাধকতা হচ্ছে নির্ধারিত প্রতিটি তারিখে আদালতে হাজিরা দেওয়া। কোনোভাবেই হাজিরা থেকে বিরত থাকা যাবে না। যদি অসুস্থতা বা যৌক্তিক কারণে আদালতে হাজির না থাকা যায়, তাহলে নিযুক্ত আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করতে হবে। জামিন পাওয়ার পর কোনোভাবে প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধমকি দেওয়া যাবে না। মামলার কোনো সাক্ষীকে প্রলোভন বা কোনো ভয়ভীতি দেখানো যাবে না।প্রতিপক্ষ বা সাক্ষীকে হুমকি-ধমকি দিলে এবং প্রতিপক্ষরা আদালতে অবগত করলে জামিন বাতিল হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ করে টাকা আত্মসাতের মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আদালত বলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ যদি আসলেই টাকা পায়, টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। যৌতুক-সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রেও প্রায়ই দেখা যায় অভিযুক্ত পক্ষ আপস-মীমাংসার শর্তে জামিন চান। সে ক্ষেত্রে স্ত্রী যদি আপস-মীমাংসা কিংবা তাঁর দেনমোহর বা ভরণপোষণের টাকা পাওয়ার শর্তে রাজি থাকেন, তাহলে স্বামীকে জামিনে আপত্তি নাও করতে পারেন। তবে অভিযুক্তকে শর্তগুলো মানতে হবে।যদিও আইনের চোখে এমন কোনো শর্তে জামিন দেওয়ার কোনো স্পষ্ট বিধান নেই। জামিনপ্রাপ্ত হলে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের পূর্বানুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক মামলায় দেখা যায়, আদালত পাসপোর্ট জব্দ করেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আদালতের অনুমতি নিয়ে পাসপোর্ট নিজের জিম্মায় এনে বিদেশ যেতে হবে। বিদেশ গেলেও আদালতে ধার্য্য তারিখে আইনজীবীর মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে হবে।আইনে কিছু শর্ত সাপেক্ষে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে মওকুফ চাওয়া যায় এবং আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়া যায়। বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির জন্য আবেদন করতে পারেন মামলার মূল বিচার শুরু হওয়ার আগে। এ ক্ষেত্রে আইনজীবী নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন কি না, তা জেনে নিতে হবে। আইনজীবী যদি হাজিরা না দেন, তাহলেও জামিন বাতিল হতে পারে। মনে রাখা জরুরি, জামিন পাওয়ার পর বিচারের সব স্তরে আদালতে যেতে হবে এবং বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। নিজে নির্দোষ হলে উপযুক্ত সাক্ষী দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে জামিন পাওয়ার পর জামিন বাতিল হলে এতে বিপদ আরও বাড়তে পারে। আইনের চোখে পলাতক ব্যক্তির অধিকারকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
★★★
সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন,নিজে আইন মেনে চলুন,অন্যকেও আইন মেনে চলতে উৎসাহিত করুন।সবাই আইন ও নিয়ম মেনে চলে একটি সুন্দর সমাজ তথা দেশ ঘটনে অবদান রাখুন।
শেখ মোহাম্মদ আমির উদ্দিন
সাধারণ সম্পাদক, ব্লিয়াক
প্রধান সম্পাদক, আইন আদালত সবার তরে।
ঢাকা জজ কোর্ট
প্রয়োজনে - ০১৬৭৩২৪০২৪৩,
No comments:
Post a Comment