আইন আদালত সবার তরে
আইন বিষয়ক তথ্য প্রদান ও সহায়তা বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠান । আপনার আইনগত সমস্যায় আমাদের সহায়তা গ্রহণ করুন।
Sunday, November 26, 2023
ঢাকায় ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে মামলা, সি আই ডি কে তদন্তের নির্দেশ
Thursday, October 27, 2022
চেক সংক্রান্ত সমস্যায় আপনার করণীয়-
Wednesday, September 7, 2022
এফিডেভিট বিষয়ক ধারণা
Tuesday, June 28, 2022
দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের পদ্ধতি ও বিচার- -
দুর্নীতি দমন কমিশনে(দুদুক)অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি-
দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভূক্ত অপরাধ সমূহের বিবরণসহ কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান/ পরিচালক, বিভাগীয় কার্যালয়/ উপপরিচালক, সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরাবর নিম্নবর্ণিত তথ্য সম্বলিত অভিযোগ দাখিল করা যাবে। এছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশনের এ অভিযোগ প্রেরণ করা যাবে।
দুদকে অভিযোগ দায়ের করতে হলে নিম্নোক্ত তথ্যাবলী প্রদান করবেন :
১. অভিযোগের বিবরণ ও সময় কালঃ
২. অভিযোগের সমর্থনে তথ্য-উপাত্ত এর বিবরণঃ
৩. অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, পদবী
ও ঠিকানাঃ
৪. অভিযোগকারী (যদি থাকে) নাম ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বরসহ অভিযোগ দাখিল করতে পারবে।
দুদকে অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি
লিখিত অভিযোগ জানাতে :
১। 'চেয়ারম্যান/কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ১ সেগুন বাগিচা, ঢাকা' বরাবর।২। 'বিভাগীয় পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিভাগীয় কার্যালয়, ঢাকা/চট্টগ্রাম/রাজশাহী/খুলনা/বরিশাল/সিলেট/রংপুর/ময়মনসিংহ' বরাবর।৩। 'উপপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় (অপরাধটি যে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের অধীন সংঘটিত)' বরাবর।৪।ই-মেইল: chairman@acc.org.bd
৫। কমিশনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ (Anti-Corruption Commission - Bangladesh)
মামলা কোথায় দায়ের হয়-
যেকোনো দুর্নীতির বিষয়ে মামলা বা এফআইআর করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিজ কার্যালয়ে এজাহার দাখিল ও ওই এজাহারের ভিত্তিতে তদন্ত করার ক্ষমতা রয়েছে । দুদকের ওই বিধিমালা অনুযায়ী দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে থানা সরাসরি মামলা রেকর্ড করতে পারে না। কেবলমাত্র জিডি হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। থানা অভিযোগ (জিডি) পাঠিয়ে দেয় দুদকে। এরপর তার ভিত্তিতে অনুসন্ধানের পর দুদক মামলা করে। দুদকে এজহার দায়েরের পর সেটি সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে উপস্থাপন পূর্বক আমলে গ্রহণের জন্য আবেদন করে, ক্ষেত্র বিশেষ আসামিকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানায়।
দুদকে মামলা হলে করণীয়-
কারো বিরুদ্ধে দুদকের মামলা হলে কীভাবে মামলার অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবেন সে চিন্তাভাবনা করতে হবে। কারণ, অভিযুক্ত হলেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে কেউ অপরাধী। আইনের চোখে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত নিরপরাধ বলে গণ্য। অভিযুক্ত দোষী বা নির্দোষ, সেটি পরে প্রমাণিত হবে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে যেন এ মামলা সুষ্ঠুভাবে মোকাবিলা করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয় সে চেষ্টা করতে হবে।
দুদক মামলায় জামিন -দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত ব্যাক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করে কিংবা গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালতের নিকট জামিন চাইতে পারেন।
আগাম জামিন -গ্রেফতার না হলে অনেক সময় হাইকোর্ট বিভাগে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আগাম জামিন চাওয়া যায়। হাইকোর্ট বিভাগ আগাম জামিন সাধারণত নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। এ মেয়াদের মধ্যেই নিম্ন আদালতে গিয়ে জামিননামা সম্পাদনের জন্য আবেদন করতে হবে।
জামিন- আসামীকে গ্রেফতার করে যে আদালতে প্রেরণ করা হবে সে আদালতে কিংবা পর্যায়ক্রমে উর্ধতন আদালতগুলোতে আসামীর জামিন চাওয়ার অধিকার আছে। আদালত মামলার গুনাগুন বিবেচনায় এবং আসামীর জামিনের উপযুক্ত কোন গ্রাউন্ড থাকলে আদালত আসামীর জামিন মঞ্জুর করতে পারেন।
নির্দোষিতা প্রমাণের চেষ্টা -জামিন নেওয়ার চেষ্টার পাশাপাশি কিংবা জামিন নেওয়ার পর অভিযোগপত্র দাখিল করার আগে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে, তা যথাযথ নয় মর্মে প্রমাণের চেষ্টা করা যায়।তদন্তকারী কর্মকর্তা আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পেলে আপনাকে নির্দোষ দেখিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবেন। চার্জশিট বা অভিযোগপত্র হয়ে গেলে আপনার মামলাটি বিচারিক আদালতে বদলি হবে। অভিযোগ গঠনের দিন আপনাকে হাজির হয়ে নতুন করে পূর্বশর্তে জামিন চাইতে হবে এবং জামিননামা সম্পাদন করতে হবে। তখন আপনি মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করতে পারেন। অব্যাহতির আবেদন নাকচ হলে উচ্চ আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন।
অন্যান্য বিষয়াবলী -
যদি এমন হয় যে আপনি জানতে পারলেন না, আপনার বিরুদ্ধে এজাহার হয়েছে। পুলিশ এসে আপনাকে গ্রেপ্তার করল। আপনাকে থানায় নিয়ে গেল। গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। তখন আপনার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করতে হবে। যদি পুলিশ রিমান্ড চায়, তাহলে আপনার আইনজীবীর মাধ্যমে রিমান্ড বাতিলের জন্য আবেদন করবেন। যদি জামিন দেন আদালত, তাহলে একজন পরিচিত জামিনদারের জিম্মায় আপনার জামিননামা সম্পাদন করতে হবে। যদি জামিন না হয়, তাহলে পর্যায়ক্রমে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে হবে।
মামলায় জামিন না নিয়ে পলাতক থাকলে-
আপনাকে মামলায় আসামী করা হলে এবং কোনো কারণে আপনার মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন না নিয়ে পলাতক থাকেন তাহলে আপনার নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি হতে পারে। এতে হাজির না হলে আপনার মালামাল ক্রোকের আদেশ হতে পারে এবং আপনার অনুপস্থিতিতেই বিচার হতে পারে। এবং মামলার রায় হয়ে গেলে ভবিষ্যতে যেকোনো সময় আপনি অত্র মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন। তাই মামলা হলে আদালতে হাজির হয়ে নিজের নির্দোষিতা কিংবা সাজা কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
★★★
সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন,নিজে আইন মেনে চলুন,অন্যকেও আইন মেনে চলতে উৎসাহিত করুন।সবাই আইন ও নিয়ম মেনে চলে একটি সুন্দর সমাজ তথা দেশ ঘটনে অবদান রাখুন।
এম আমির উদ্দিন(আমির)
এডভোকেট,
ঢাকা জজ কোর্ট
সম্পাদক, আইন আদালত সবার তরে।
প্রয়োজনে - 01673- 240243,
https://www.facebook.com/amirdcph
Monday, March 7, 2022
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন - নিজের নাম সংশোধনে করণীয় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসমূহ।
এনআইডি কার্ডে নিজের নাম সংশোধনের জন্য করণীয় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসমূহ
পূর্বে যারা ভোটার হয়েছেন তাদের অনেকেরই এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ডে কিছু না কিছু ভুল অবশ্যই আছে। অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম কি? বা কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যায়? ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে? সত্য এটাই যে, অনেকেই এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানেন না। ফলে তারা এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড এর ভুল নিয়ে নানা ধরণের ভোগান্তিতে পরেন। এই পোষ্টে উল্লেখ করবো খুব সহজে কিভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা যায়। ভোটার আইডি কার্ড এ নিজের নাম সংশোধনে করণীয় কি এবং কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম:-
এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ডে নিজের বাংলা নাম ও ইংরেজি নামে যদি প্রকৃতপক্ষেই ভুল থাকে তাহলে সংশোধনের আবেদন দাখিল করে তা ঠিক করা যায়। এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর আবেদন দুই ভাবে করা যায়।
প্রথমত সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম - ২ সংগ্রহ করে পূরণ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি রকেট/বিকাশ এর মাধ্যমে জমা দিয়ে তার রশিদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফরমের পিছেনে পিন-আপ করে জমা দিলে সংশোধনের কার্যক্রম শুরু হয়।
দ্বিতীয়ত অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর আবেদন দাখিল করা যায়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd ঠিকানায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করলে ওই ভোটারের ছবি, নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখসহ যাবতীয় তথ্য দেখা যায় এবং এগুলো এডিট করার মাধ্যমে আবেদন দাখিল করা যায়। আপনি চাইলে ঘরে বসে নিজেই নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর আবেদন দাখিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অফিসে যাওয়া আসার কষ্ট করার প্রয়োজন হয় না এবং সময়ও বেচে যায়। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ঘরে বসে অনলাইনে এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর আবেদন করাই ভালো।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে?
যদি নামের বানান প্রকৃতপক্ষে ভুল থাকে এবং নামের আগের থাকা মোঃ/মোছাঃ যোগ করতে বা বাদ দিতে চান, অর্থাৎ সাধারণ ভুল হয় সেক্ষেত্রে আবেদনের সাথে-
❖ এসএসসি সনদ: আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান সনদের ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। অথবা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর আবেদন করার সময় ছবি তুলে বা স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
❖ জন্ম নিবন্ধন সনদ: আবেদনকারীর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ সবার জন্য বাধ্যতামূলক।
যদি আপনি বিবাহিত হন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকে তাহলে আবেদনের সাথে নিম্নোক্ত কাগজপত্রগুলো জমা দিতে পারেন।
❖ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি (বাধ্যতামূলক)।
❖ সন্তানদের ভোটার আইডি কার্ডের কপি অথবা শিক্ষা সনদ অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ (যদি থাকে)।
❖ স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের কপি (যদি থাকে)।
❖ কাবিননামা/বৈবাহিক সনদ (যদি থাকে)।
❖ সার্ভিস বই/এমপিও শীটের কপি (চাকরিজীবি হলে)।
❖ পৌর মেয়র/চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র ইত্যাদি (যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)।
আপনি যদি বিবাহিত না হন তাহলে একটু খেয়াল করে দেখবেন যেসব কাগজপত্রে আপনার নাম সঠিক করে লেখা আছে। সে সব কাগজপত্র আবেদনের সাথে জমা দেবেন।
যদি নামের পদবী সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে চান তাহলে-
❖ এসএসসি সনদ (যদি থাকে)।
❖ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (বাধ্যতামূলক)।
❖ স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের কপি (যদি থাকে)।
❖ কাবিননামা/বৈবাহিক সনদ (যদি থাকে)।
❖ সন্তানদের ভোটার আইডি কার্ড এর কপি অথবা শিক্ষা সনদ অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ (যদি থাকে)।
❖ পাসপোর্টের কপি (যদি থাকে)।
❖ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কপি (যদি থাকে)।
❖ পৌর মেয়র/চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র ইত্যাদি (যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)।
উপরোক্ত কাগজপত্রের মধ্যে যে কাগজপত্রগুলো আপনার আছে আবেদনের প্রাথমিক অবস্থায় সেগুলো জমা দেবেন।
যদি আপনার সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন করার জন্য আবেদন করেন সেক্ষেত্রে উপরিউল্লেখিত কাগজপত্রের মধ্যে যে যে কাগজগুলো আপনার আছে সেগুলোর সাথে একটি এ্যাফিডেভিট/হলফনামা জমা দিতে হবে। হলফনামা অবশ্যই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত হতে হবে, নোটারী পাবলিক থেকে না করাই ভালো।
সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তনের আবেদনগুলোতে যত কাগজপত্রই দেন না কেন সেখানে সরেজমিন তদন্ত করার প্রয়োজন হয়। উপজেলা নির্বাচন অফিসার সরেজমিন তদন্ত করবেন রিপোর্ট তৈরী করে প্রেরণ করবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট। তদন্ত প্রতিবেদন ও আপনার দাখিলকৃত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার আবেদন অনুমোদন করতে বা বাতিল করতে পারে। এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড থেকে নিজের সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তনের আবেদনগুলো সহজে অনুমোদন পায় না। কারণ সেখানে অনেক কিছু বিচার বিশ্লেষণ করার থাকে এবং সেগুলো সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আবেদন চলমান অবস্থায় থাকে। তারপরও আপনি চাইলে আমার দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী আবেদন করে দেখতে পারেন।
আপনার দাখিলকৃত আবেদন অনুমোদন হলে বা বাতিল হলে বা আরো কাগজপত্র প্রয়োজন হলে আবেদনের সময় সরবরাহকৃত মোবাইল নম্বরে ম্যাসেজ করে জানানো হয়।
আবেদন অনুমোদন হলে অনলাইন সিস্টেম হতে মূল এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড এর একটি অনুলিপি ডাউনলোড করা যাবে। সেটি প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করে নিলেই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন। অথবা আবেদন অনুমোদন হওয়ার পর ৫-৭ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে সংশোধিত এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ডটি সংগ্রহ করা যাবে।
এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড এ নিজের নাম সংশোধনের জন্য যে পরামর্শ এখানে দেয়া হলো আপনি যদি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে পরামর্শ নেন তাহলে তারাও আপনাকে এই একই ধরণের পরামর্শ দেবে। তাই আপনার নামে যদি এ ধরণের কোন ভুল থাকে তাহলে আবেদনের প্রাথমিক অবস্থায় আমার দেয়া এই পরামর্শ অনুযায়ী আবেদন দাখিল করতে পারেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে উক্ত পরামর্শটি একটি সঠিক পরামর্শ। এর পরও যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টস করবেন। আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ.......।
collected
Friday, November 19, 2021
Monday, April 22, 2019
পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে পারিবারিক সমস্যা নিরসন করতে চাইলে?
কোনো বিষয়ে পারিবারিক বিরোধ দেখা দিয়েছে? ভাবছেন কী করবেন।কোনোভাবেই নিষ্পত্তি করতে পারছেন না। যদি একেবারেই কোনোভাবে বিরোধটি নিষ্পত্তি করতে না পারেন তাহলে আপনি পারিবারিক আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। পারিবারিক কোনো বিরোধ নিষ্পত্তির জন্যই দেশে পারিবারিক আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।পারিবারিক আদালতে মূলত পাঁচটি পারিবারিক সমস্যার নিষ্পত্তি করা হয়ে থাকে -
১)বিবাহবিচ্ছেদ: বিবাহবিচ্ছেদের জন্য সব সময় আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। যে ক্ষেত্রে কাবিননামার ১৮ নম্বর ঘরে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে কেবল স্ত্রী আদালতে যেতে পারে। এ ছাড়া স্ত্রী যদি স্বামীকে ‘খোলা’ বা ‘মোবারাত’ বিচ্ছেদে সম্মত করাতে পারেন, সে ক্ষেত্রেও আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
২)দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার: কোনো কারণে দাম্পত্য জীবন ব্যাহত হলে এবং সংসারে ফেরত না আসতে পারলে স্বামী বা স্ত্রী যে কেউ পারিবারিক আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন।
৩)মোহরানা: স্বামীর পরিশোধ না করা দেনমোহরের জন্য স্ত্রী মামলা করতে পারেন। তাৎক্ষণিক মোহরানার জন্য যে তারিখে তা দাবি করা হয় এবং অগ্রাহ্য করা হয়, সে তারিখ থেকে তিন বছরের মধ্যে এবং বিলম্বে মোহরানার জন্য বিচ্ছেদ ঘটার তারিখ থেকে তিন বছরের মধ্যে মামলা করতে হবে।
৪)ভরণপোষণ: স্বামী যদি স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে না চান, তাহলে স্ত্রী যেদিন থেকে ভরণপোষণের টাকা দাবি করবেন, সেদিন থেকে তিন বছরের মধ্যে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে হবে।
৫)সন্তানের অভিভাবকত্ব: সন্তানের অভিভাবকত্ব এবং হেফাজত নিয়ে কোনো বিরোধ হলে পারিবারিক আদালতে যাওয়া যেতে পারে।
***কোন আদাালতে আশ্রয় নেবেন-
উভয় পক্ষ যেখানে বসবাস করে বা সর্বশেষ বসবাস করেছে এবং যে পারিবারিক আদালতের স্থানীয় সীমার মধ্যে সমস্যা উদ্ভূত হয়েছে, সেই আদালতে মামলা করতে হবে। তবে বিবাহবিচ্ছেদ, মোহরানা ও ভরণপোষণের ক্ষেত্রে যেখানে স্ত্রী বসবাস করেন, সেই এলাকায় বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পারবেন। দেনমোহর বা ভরণপোষণের পরিমাণ যতই হোক, মামলা করা যাবে। পারিবারিক আদালতে আইন চর্চা করেন এমন একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আবেদন করতে হবে। পারিবারিক আদালতে আশ্রয় নিতে হলে খুব বেশি কোর্ট ফি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার যারা পারিবারিক বিষয়ে কাজ করে তাদের আইনজীবীর মাধ্যমেও আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে। পারিবারিক আদালতের ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিলের বিধান থাকলেও বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। এ ছাড়া পাঁচ হাজার টাকার কম মোহরানার ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল চলবে না। কোনো আবেদন পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আদালত বাদী ও বিবাদীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেবেন। আদালত প্রয়োজনে রুদ্ধদ্বার কক্ষেও বিচারের ব্যবস্থা করতে পারেন।
*** আপস মীমাংসার সুযোগ-
পারিবারিক আদালতের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে নিজেদের মধ্যে আপস মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ রয়েছে। একবার মামলার বিচার শুরু হওয়ার আগে এক দফা এবং পরবর্তী সময়ে রায় ঘোষণার আগে দ্বিতীয় দফায় আপসের সুযোগ রয়েছে। তাই পারিবারিক বিষয়ে আদালতে গেলেও নিজেদের মধ্যে আপস মীমাংসা করে নেওয়াই উচিত। আবার আপসমূলে আদালতের ডিক্রি নেওয়ার সুযোগও রয়েছে।
★★★
সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন,নিজে আইন মেনে চলুন,অন্যকেও আইন মেনে চলতে উৎসাহিত করুন।সবাই আইন ও নিয়ম মেনে চলে একটি সুন্দর সমাজ তথা দেশ ঘটনে অবদান রাখুন।
শেখ মোহাম্মদ আমির উদ্দিন(আমির)
এডভোকেট,
ঢাকা জজ কোর্ট
প্রধান সম্পাদক, আইন আদালত সবার তরে।
প্রয়োজনে - 01673- 240243,